ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ রউফ-অভিষেকের বাগ্‌বিতণ্ডায় আম্পায়ারের হস্তক্ষেপ, আসলে কী হয়েছিল

 ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ রউফ-অভিষেকের বাগ্‌বিতণ্ডায় আম্পায়ারের হস্তক্ষেপ, আসলে কী হয়েছিল



ব্যাট–বলের লড়াই একতরফা হলেও গতকাল রাতে ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা ছিল চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের। ভারতের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পাকিস্তান পেসার হারিস রউফ আর ভারত ওপেনার অভিষেক শর্মা রীতিমতো বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। পরিস্থিতি শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করেন বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজী সোহেল।

ম্যাচের একাধিক উত্তেজনাকর মুহূর্তের মধ্যে এটি ছিল খেলোয়াড়দের শারীরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কাছাকাছি ঘটনা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারতীয় ওপেনার অভিষেক এ ঘটনায় কারও নাম না নিয়ে পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন। রউফ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

পাকিস্তানের ১৭১ রান ভারত তাড়া করতে নামার পর প্রথম ওভারেই শুবমান গিল ও শাহিন আফ্রিদির মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা গেছে। যদিও তাঁরা তর্কে জড়াননি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিং করতে আসেন রউফ।

ওভারের শেষ বলে গিল চার মেরেই কিছু একটা বলেন। রউফকেও আম্পায়ারের দিকে ফিরতে ফিরতে কিছু বলতে দেখা যায়। এ সময় তাঁর সামনেই ছিলেন গিলের উদ্বোধনী সঙ্গী অভিষেক। ভারতীয় ওপেনার রেগে গিয়ে রউফকে কিছু একটা বলেন। দাঁড়িয়ে পড়ে চোখ রাঙান রউফও, আঙুলও তোলেন। মুহূর্তেই মুখোমুখি হয়ে পড়েন অভিষেক–রউফ। পাশে দাঁড়ান গিলও। যেকোনো সময় হাতাহাতি শুরু হয়ে যেতে পারে—এমনই পরিস্থিতি তখন।অবস্থা সামাল দিতে আম্পায়ার গাজী সোহেল দ্রুত অভিষেক–রউফের মাঝে গিয়ে রউফকে সরিয়ে দেন। এ সময় ক্ষুব্ধ দেখা যায় দুজনকেই।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন অভিষেক। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ভারতকে ৬ উইকেটে জেতানোর পর নিজের স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আজ ব্যাপারটা ছিল খুবই সহজ। তারা কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর এসে পড়ছিল, আমার একদম ভালো লাগেনি। আর তাদের জবাব দেওয়ার এটাই ছিল একমাত্র উপায়।’

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একই মনোভাব প্রকাশ করেন অভিষেক। ম্যাচের চারটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘তোমরা কথা বলো, আমরা জিতি।’

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form